এক রোগীর পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গার গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চৈতীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে সেই রোগী ভর্তি হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে। তবে অভিযুক্ত ডাক্তার বলছেন,এরকম অভিযোগ সত্যিই হাস্যকর,ভিত্তিহীন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের বিপুল এর স্ত্রী গর্ভবতী পলি খাতুন গত মাসের ২০ তারিখে ভর্তি হয় সদর হাসপাতাল রোডের মা ক্লিনিকে। ওই দিন রাতেই ডাক্তার চৈতী পলি খাতুনকে সিজার অপারেশন করেন। কন্যা সন্তান হওয়ার ৪ দিন পর ক্লিনিক থেকে রোগীকে ছুটি দেওয়া হয়।
কিন্তু বাড়ি ফেরার পরদিন থেকেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় রোগীর। এদিকে দিন দিন পেট ফুলে অপারেশনের স্থানে সেলাই কেটে গেলে দ্রুত আবার ভর্তি করানো হয় মা ক্লিনিকে। সিজারের ৭ দিন পর পলিকে আবারো অপারেশন করানো হয়। এ সময় তার পেট থেকে গজের একটি বড় অংশ বের করা হয়। পরবর্তীতে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেলে আবারও ব্যাথা শুরু হয় রোগীর। পরে শুক্রবার দুপুরে সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয় পলিকে। সে সময় রোগীর পেটে ড্রেসিং করে আবারও পাইপের একটি অংশ বের করা হয়।
এ বিষয়ে ডাক্তার চৈতী বলেন, ‘এরকম অভিযোগ সত্যিই হাস্যকর। অপারেশনের পর রোগী কাঁশি বেরে সেলাই ফেটে যায়। আমার বিরুদ্ধে তারা যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন।’